ফেসবুকে ফেক আইডি চেনার সহজ উপায় !
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক। এখানে নিমিষেই ভৌগলিক সীমার তোয়াক্কা না করে মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব হচ্ছে। হচ্ছে প্রেম, এমনকি বিয়ে। অনেকে ফেসবুক বন্ধুর টানে পাড়ি জমাচ্ছেন ভিনদেশে। কিন্তু আপনি যেসব মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে চ্যাটিং করছেন, বন্ধুত্ব করছেন তাদের আইডিগুলো ফেক নয়তো? কোনো ধরনের ভেরিফিকেশন ছাড়া এ সাইটটি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেকেই ফেক আইডি খুলে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। অনেক সময় কারো আইডি আসল না নকল সেটা বুঝতে হিমশিম খেতে হয়। বিশেষ করে মেয়েদের আইডির ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো প্রকট।
ফেক আইডি কি? ফেক আইডি বলেতে বোঝায় ভুয়া নাম ও ছবি দিয়ে তৈরী করা একাউন্ট। তবে এর চেয়েও বিপজ্জনক হলো, অনেক সময় কোন ব্যক্তির ক্ষতি করার জন্যে তার নাম ও ছবি দিয়ে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা। অথবা আরো নানা ধরনের অপকর্ম, যেমন প্রেমের ফাঁদ ফেলে টাকা আদায় ও অন্যান্য অশ্লীল কনটেন্ট ব্যবহার করে কারো ক্ষতি করা ইত্যাদি। ফেক আইডির পেছনের কুৎসিত মানসিকতার লোকটিকে খুজে পেতে আপনাকে পুলিশ বা আইটি বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হতে হবে। তবে আপনাকেই হয়তো এমন কোন ফেক আইডি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে বা ইতোমধ্যেই আপনার ফ্রেন্ড লিস্টেও অবস্থান করছে, যেকোন সময় এই ফেক আইডি আপনার একাউন্টও হ্যাক করতে পারে। তাই জেনে নিন কিভাবে সনাক্ত করবেন?
এই পদ্বতিতে আশা করি সব ফেক আইডি চিনে ফেলতে পারবেন। তবু ও আরো কিছু টিপস মনে রাখলে ভালো হয় যেমন
১। টাইমলাইন কত পুরোনো? প্রথম কথা, টাইমলাইন দেখুন। সাধারনত, ফেক আইডির টাইমলাইনে মাত্র কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের অ্যাটিভিটি দেখা যায়। আর আসল আইডির ক্ষেত্রে এটি কমপক্ষে কয়েক বছর পুরোনো হবার কথা।
২। ছবিগুলো খুঁটিয়ে দেখুনঃ ফেক আইডিতে সাধারণত কয়েকটি মাত্র একক ছবি থাকবে। কিন্তু আসল আইডিতে অনেকগুলো ছবির এলবামে পরিবার, বন্ধুবান্ধব সহ নানা স্থানের অনেকের সাথে একক ও যৌথ অনেকগুলো ছবি থাকবে।
৩। ফ্রেন্ডলিস্টে কারা আছে? এটা ভালোভাবে দেখে নিন। আসল একাউন্টে নারী পুরুষ দুই ধরণের মানুষের সমন্বয়েই ফ্রেন্ড লিস্ট পূর্ণ থাকবে। কিন্তু নকল একাউন্টে বিপরীত লিঙ্গের ফ্রেন্ডে ফ্রেন্ডলিস্ট পূর্ণ থাকবে।
৪। প্রোফাইল পিকচারঃ প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন। এর লিঙ্কটি নিয়ে গুগল ইমেজে সার্চ দিন। কেননা, সাধারণত, ফেক আইডির ছবিগুলো দেশের বাইরের অন্য কারো একাউন্ট থেকে ছবি চুরি করে নিয়ে তৈরী হয়। গুগল ইমেজে সার্চ দিলে আসল ব্যক্তিটির নাম আপনি পেয়ে যাবেন।
৫। লাইক করা পেজগুলো কেমন? ফেক আইডির লাইক করা পেজগুলো সাধারণত অশ্লীল পেজ হয়ে থাকে। তাই খুব ভালো করে এই অংশটি খেয়াল করুন।
৬। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কি? আপনার কোন মিউচুয়াল বন্ধু যদি এই আইডির সাথে ফ্রেন্ড থাকে, তাহলে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন।
৭। বেসিক ইনফোতে গোলমাল নেই তো? বেসিক ইনফোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। এখানে বেশ গন্ডগোল থাকে সাধারণত। যেমন, আইডি কোন মেয়ের, অথচ পড়াশুনা করে ঢাকা কলেজে। খেয়াল করে দেখুন, এরকম কোন অসংগতি পান কিনা!
৬। স্ট্যাটাস ও টিউমেন্ট খেয়াল করুনঃ সাধারণত কোন গঠনমূলক স্ট্যাটাস থাকে না। “বৃষ্টি পড়ছে, কে কে ভিজবা?” “গুড মর্নিং ফ্রেন্ডস” এই টাইপ স্ট্যাটাসে পরিপূর্ণ থাকে। এবং টিউমেন্টে সাধারণত প্রশংসামূলক টিউমেন্টে পূর্ণ থাকে। কোন কথোপকথন পাওয়া যায় না। অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার আগে উপরের বিষয়গুলো মিলিয়ে নিন। আপনার ২ মিনিটের এই বাড়তি সতর্কটুকুই ভবিষ্যতে আপনার একাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তাই, সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন
ফেক আইডি কি? ফেক আইডি বলেতে বোঝায় ভুয়া নাম ও ছবি দিয়ে তৈরী করা একাউন্ট। তবে এর চেয়েও বিপজ্জনক হলো, অনেক সময় কোন ব্যক্তির ক্ষতি করার জন্যে তার নাম ও ছবি দিয়ে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা। অথবা আরো নানা ধরনের অপকর্ম, যেমন প্রেমের ফাঁদ ফেলে টাকা আদায় ও অন্যান্য অশ্লীল কনটেন্ট ব্যবহার করে কারো ক্ষতি করা ইত্যাদি। ফেক আইডির পেছনের কুৎসিত মানসিকতার লোকটিকে খুজে পেতে আপনাকে পুলিশ বা আইটি বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হতে হবে। তবে আপনাকেই হয়তো এমন কোন ফেক আইডি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে বা ইতোমধ্যেই আপনার ফ্রেন্ড লিস্টেও অবস্থান করছে, যেকোন সময় এই ফেক আইডি আপনার একাউন্টও হ্যাক করতে পারে। তাই জেনে নিন কিভাবে সনাক্ত করবেন?
যেভাবে সনাক্ত করবেন !
আমি আপনাকে সহজে একটা পদ্বতি শিখিয়ে দিব যার মাধ্যমে আপনি ৮০-৯০% আইডি ফেক বা আসল কিনা তা চিনে ফেলতে পারবেন তো আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার পদ্বতি ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করিএই পদ্বতিতে আশা করি সব ফেক আইডি চিনে ফেলতে পারবেন। তবু ও আরো কিছু টিপস মনে রাখলে ভালো হয় যেমন
১। টাইমলাইন কত পুরোনো? প্রথম কথা, টাইমলাইন দেখুন। সাধারনত, ফেক আইডির টাইমলাইনে মাত্র কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের অ্যাটিভিটি দেখা যায়। আর আসল আইডির ক্ষেত্রে এটি কমপক্ষে কয়েক বছর পুরোনো হবার কথা।
২। ছবিগুলো খুঁটিয়ে দেখুনঃ ফেক আইডিতে সাধারণত কয়েকটি মাত্র একক ছবি থাকবে। কিন্তু আসল আইডিতে অনেকগুলো ছবির এলবামে পরিবার, বন্ধুবান্ধব সহ নানা স্থানের অনেকের সাথে একক ও যৌথ অনেকগুলো ছবি থাকবে।
৩। ফ্রেন্ডলিস্টে কারা আছে? এটা ভালোভাবে দেখে নিন। আসল একাউন্টে নারী পুরুষ দুই ধরণের মানুষের সমন্বয়েই ফ্রেন্ড লিস্ট পূর্ণ থাকবে। কিন্তু নকল একাউন্টে বিপরীত লিঙ্গের ফ্রেন্ডে ফ্রেন্ডলিস্ট পূর্ণ থাকবে।
৪। প্রোফাইল পিকচারঃ প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন। এর লিঙ্কটি নিয়ে গুগল ইমেজে সার্চ দিন। কেননা, সাধারণত, ফেক আইডির ছবিগুলো দেশের বাইরের অন্য কারো একাউন্ট থেকে ছবি চুরি করে নিয়ে তৈরী হয়। গুগল ইমেজে সার্চ দিলে আসল ব্যক্তিটির নাম আপনি পেয়ে যাবেন।
৫। লাইক করা পেজগুলো কেমন? ফেক আইডির লাইক করা পেজগুলো সাধারণত অশ্লীল পেজ হয়ে থাকে। তাই খুব ভালো করে এই অংশটি খেয়াল করুন।
৬। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কি? আপনার কোন মিউচুয়াল বন্ধু যদি এই আইডির সাথে ফ্রেন্ড থাকে, তাহলে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন।
৭। বেসিক ইনফোতে গোলমাল নেই তো? বেসিক ইনফোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। এখানে বেশ গন্ডগোল থাকে সাধারণত। যেমন, আইডি কোন মেয়ের, অথচ পড়াশুনা করে ঢাকা কলেজে। খেয়াল করে দেখুন, এরকম কোন অসংগতি পান কিনা!
৬। স্ট্যাটাস ও টিউমেন্ট খেয়াল করুনঃ সাধারণত কোন গঠনমূলক স্ট্যাটাস থাকে না। “বৃষ্টি পড়ছে, কে কে ভিজবা?” “গুড মর্নিং ফ্রেন্ডস” এই টাইপ স্ট্যাটাসে পরিপূর্ণ থাকে। এবং টিউমেন্টে সাধারণত প্রশংসামূলক টিউমেন্টে পূর্ণ থাকে। কোন কথোপকথন পাওয়া যায় না। অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার আগে উপরের বিষয়গুলো মিলিয়ে নিন। আপনার ২ মিনিটের এই বাড়তি সতর্কটুকুই ভবিষ্যতে আপনার একাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তাই, সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment